শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৩৫ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাতা, রাজশাহী:
সাংবাদিক এমএম মামুনকে মূর্খ সাংবাদিক বলে ধমক দিয়ে থানা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাজহারুল ইসলাম। সাংবাদিক এমএম মামুনকে দৈনিক সোনালী সংবাদ ও জাতীয় দৈনিক দেশ বাংলা পত্রিকার বিভাগীয় প্রধান। দীর্ঘ ২৮ বছর যাবৎ তিনি সাংবাদিকতা পেশায় রয়েছেন। এর মধ্যে ২০০১ সাল থেকে তিনি সোনালী সংবাদ পত্রিকায় সুনামের সাথে সাংবাদিকতা করছেন। দীর্ঘ ২৮ বছর সাংবাদিকতা পেশায় পেয়েছেন প্রায় ১০টির ও বেশি পুরুস্কার। জানা গেছে, (২৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর বোয়ালিয়া থানার আমবাগান এলাকায় বেনজীর নামের এক ব্যক্তি ভাড়াটিয়া গুন্ডা বাহীনি জিম, সংগ্রাম, প্রমি, স্মৃতী, শিল্পি, ভুট্টু, আলম, বশীর সহ অজ্ঞাত ৬জন সাথে নিয়ে প্রতিবেশী রুমানা ইসলাম আখিঁ’র বাড়িতে প্রবেশ করে ভাংচুর, লুটপাট ও তার মায়ের শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুকে) ছড়িয়ে পড়ে। ওই দিনই দুপুরে রুমানা ইসলাম আখিঁ সাংবাদিক এমএম মামুনকে সাথে নিয়ে আরএমপি বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিতে যান। বোয়ালিয়া থানার ওসি মাজহারুলের অফিসে প্রবেশ করতেই ক্ষেপে যান ওসি। বলেন, অভিযোগ ছিড়ে ফেলবো। যাও এখান থেকে। বাড়ি ভাংগার কোন মামলা হয়না। এ সময় ভ‚ক্তভোগী নারীর হয়ে সাংবাদিক মামুন বলেন, স্থানীদের কাছ থেকে ঘটনার ভিডিও সংগ্রহ করা হয়েছে। আপনি দয়া করে ভিডিওটা একটু দেখবেন। সাংবাদিকের কথা শেষ না হতেই আরও ক্ষেপে যান ওসি। বলেন, আমার মুখে সামনে দাঁড়িয়ে কেউ কথা বলার সাহস পায়না। আপনার মতো একজন মূর্খ সাংবাদিক আমার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন কোন সাহসে। বেরিয়ে যান এখান থেকে। এরপর ওসি’র অগ্নিমূর্তী দেখে সোনালী সংবাদের এই সাংবাদিক থানা থেকে বেয়িয়ে যান। তিনি ভুক্তভোগী নারী আখিকে পরামর্শ দেন আদালতে মামলা করার। এরপর গত বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বিজ্ঞ সি.এম.এম বোয়ালিয়া আমলি আদালতে রুমানা ইসলাম আখিঁ বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং -৯৫১/সি/২০২২। এ ব্যপারে জানতে চাইলে দৈনিক সোনালী সংবাদ পত্রিকার সাংবাদিক এমএম মামুন বলেন, আমি ভুক্তভোগী নারীর বিষয়ে ওসিকে শুধু ভিডিওটা দেখার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি ভিডিওটা দেখেননি। উল্টা আমাকে মূর্খ সাংবাদিক বলে ধমক দিয়ে থানা বেরিয়ে যেতে বলেন। তারা আচারণ দেখে মনে হলো তিনি আরএমপি পুলিশের অনেক বড় কর্মকর্তা। আর বোয়ালিয়া থানা তার বাপের কেনা পৈত্রিক সম্পত্তী। তিনি আরও বলেন, আমার ২৮ বছর সাংবাদিকতা পেশায় এইরকম বেয়াদব ওসি দেখিনি। অভিযোগ রয়েছে, বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মোঃ মাজহারুলের বিরুদ্ধে। সরকারী ফোনে ফোন দিলে, তিনি তার পছন্দের লোকজন ছাড়া অন্য কোন সাংবাদিকের ফোন রিসিভ করেন না। অথচ বোয়ালিয়া বিভাগের উর্দ্ধতন সকল কর্মকর্তাবৃন্দ সাংবাদিকদের ফোন এড়িয়ে যান না।
ওসি দাম্ভিকতা প্রকাশ করে বলেন, মূল ধারার সাংবাদিক গুনার টাইম নাই। সম্প্রতি তিনি রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও জাতীয় দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সংবাদিক মোঃ সাইদুর রহমানকে একাধিকবার অপমান করেছেন। কোন প্রয়োজনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন না।
এ বিষয়ে আরএমপি পুলিশের পুলিশ কমিশনারের কাছে তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক সাইদুর রহমান একাধিক বার অভিযোগও করেছেন। তারপরেও তিনি তার অবস্থানে অনড় রয়েছেন। উল্লেখ্য, বাড়ি ভাংগার ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক, ও নারী পূরুষ হাম্বুর ও শাপল দিয়ে একটি বাড়ির বিভিন্ন স্থাপনা ভাংছেন। এ সময় অভিযুক্তরা আখির মাকে বলছে, সব ব্যবস্থা করেই এসেছি। অবস্থা খারাপ করে দিব। ব্যবস্থা বলতে কি বোঝাতে চাইছেন। তা ওসির ব্যবহারে অনুমান করা যাচ্ছে। এ ব্যপারে জানতে মুঠো ফোনে ফোন দিলে বোয়ালিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোঃ আরেফিন জুয়েল বলেন, আমি একটি জরুরী মিটিং-এ আছি। আমি পরে আপনাকে ফোন দিচ্ছি।